জেনে নিন রোজার উপকারিতা বা রোজার বৈশিষ্ট্য
আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভাল আমিও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে ভাল আছি । দেখতে দেখতে চলে এল পবিত্র রমজান মাস । এ মাসে ইবাদত করা অনেক সওয়াব । আর এই মাসে আমাদের অনেকের ঈমান বেশী মজবুত হয় । অনেকেই মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে বেশী বেশী স্মরণ করে । আর এই রমজান মাস উপলব্ধি করা যায় রোযার মাধ্যমেই । রমজান মাসে রোজা পালনে রয়েছে অনেক উপকারিতা ।
নিচে দেখে নিন রমযানের রোজার কিছু উপকারিতাঃ
- রোজার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ হয় ।
- রোজা মানব জাতিকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে ।
- রোজার মাসের খাওয়া বা পান করার কোন হিসাব হবে না ।
- রোজাদারের শরীর পাপ হতে পবিত্র হবে ।
- রোজাদারের প্রতি মহান আল্লাহ্ তায়ালার রহমত বৃদ্ধি পাবে ।
- রোজাদারের ইবাদত ও সৎকর্ম বৃদ্ধি পাবে ।
- রোজাদারের রিজিক মহান আল্লাহ্ তায়ালা বৃদ্ধি করে দেন ।
- রোজাদারের জন্য আসমান ও জমিনের ফেরেশতাগণ মাগফেরাত কামনা করতে থাকে ।
- রোজা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য তাই একমাত্র রোজার সওয়াব আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে তার বান্দাকে দিবেন ।
- রোজার মাসে ইবাদত করলে অন্য মাসের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী নেকি পাওয়া যায় ।
- রোজাদারের গুনাহ তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে মহান আল্লাহ্ তায়ালা ক্ষমা করিয়া দেন ।
- রোজাদারের দুয়া কবুল করা হয় ।
- রোজাদারের অন্তর সবসময় নির্মল থাকে, তাই রোজাদার সর্বদা জিকিরে ব্যস্ত থাকে ।
- রোজাদারের জন্য জান্নাতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ।
- রোজাদারের জন্য জাহান্নামের দ্বার বন্ধ করে দেয়া হয় ।
- রোজাদারের কাজ-কর্ম, পানাহার ইবাদত হলে গণ্য হয় ।
- রোযার মাসে শয়তান ও তার সঙ্গীদের বন্ধী করে রাখা হয় ।
- রোজার মাসে মানুষের কু-মন্ত্রনাকারী নফসের শক্তি দমন করা হয় ।
- রোজাদার ব্যক্তির জন্য জান্নাত সুসজ্জিত করা হয় ।
- রোজার মাসের প্রতি জুম্মার (শুক্রবার) দিবসে ৩৯ লক্ষ জাহান্নামীকে মুক্তি দেওয়া হয় ।
- রোজার মাসে খারাপ কথা থেকে মুক্ত থাকা যায় ।
- রোজা থাকা অবস্থায় খারাপ জিনিস দেখা থেকে মুক্ত থাকা যায় ।
- বছরের ১১ মাসের সকল গুনাহ রমজান মাসে মাফ করে দেওয়া হয় ।
- ইফতারের মুহুর্তে দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না মানে অবশ্যই কবুল হয় ।
- রোজার রাখার ফলে শরীরের অনেক রোগ মুক্ত হয় ।
- রোজার রাখার ফলে অনেক খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে সহজ হয়। যেমন: ধুমপান , নেশা , সিনেমা দেখা , খারাপ মুভি দেখা , খারাপ নজর দেয়া সহ আরো অনেক কাজ ।
- রোজার মাসে সবার অন্তর কোমল থাকে যার কারণে মানুষ ঝগড়া তর্ক কম করে কথা কম বলে ।
- রোজার মাসে প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবারে বা প্রতিষ্ঠানে ইসলামিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় ।
- সবাই মিলে একসাথে ইফতার করার ফলে সবার মধ্যে একটা ভাল সম্পর্ক তৈরি হয় ।
তাছাড়া রোজার মাসের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা বলে শেষ করা যাবে না । আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী । সুতরাং আল্লাহ যেহেতু রোজার আদেশ করেছেন তাহলে এটার নি:সন্দেহে মানব জাতির জন্য অনেক অনেক উপকারী যার সবগুলো উপকারীতা হয়তো আমরা জানিও না । মহান আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র সব জানেন । আশা করি সবাই রোযা রাখবেন ।
বিভাগঃ রোজা । এই পোষ্টটি ২০৮৬ বার পড়া হয়েছে
কোন মন্তব্য নেই