ডাবের পানির উপকারীতা
রোগীর পথ্য থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়নে ডাবের পানির জুড়ি নেই। ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, শর্করা, প্রোটিন, সোডিয়াম, ক্লোরাইড ও তন্তুজাতীয় পদার্থ। এসব উপাদান শরীর সুস্থ্যতার পাশাপাশি ত্বক, ঠোঁট, চুল, নখ ও দাঁত সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’ যা ত্বক, চুল ও নখ ভালো রাখে। এমনকি মানুষের বয়সের ছাপ দূর করে ত্বকে এনে দেয় সজীবতা।
ডাবের পানি ত্বকের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ধ্বংশ করে ত্বক ভালো রাখে। ডাবের পানিতে মুখ ধোয়ার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের ব্রণের দাগসহ যেকোন দাগ দূর হবে সেই সঙ্গে উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে কয়েকগুন।
ডাবে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস দাঁতের মাড়িকে মজবুত করে, রক্তপড়া বন্ধ করে, সেইসঙ্গে দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। নখের ভঙ্গুরতা থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর অভাব হলে বিশেষ করে শীতকালে ঠোঁটের চামড়া ওঠে যায়, ফ্যাকাশে হয়ে যায়। নিয়মিত ডাবের পানি খেলে এসব সমস্যা দূর হবে।
ডাবে সামান্য পরিমান শর্করা থাকার ফলে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া কিডনীর অম্লত্ব ঠিক রাখতে ডাবের পানির কোনো জুড়ি নেই। ডাবের পানি খেলে স্নায়ুতন্ত্র শক্তিশালী হয় ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে পায়।
ডাবের পানিতে ক্ষতিকর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এত গুনের কারণে ডাবের পানিকে বলা হয় ফ্লুইড অব লাইফ বা জীবনের পানীয়।
সংগ্রহ : ইন্টারনেট