আজ বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং  , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঃ , ৪ রজব ১৪৪৫ হিঃ

আদার উপকারিতা

‘উইন্টার ওয়র্মার’ ফুড হিসেবে পরিচিত আদার রয়েছে অনেক উপকারিতা বা গুণ। হজমি কারক, রুচি বর্দ্ধক, কফ নিবারক ও বায়ু রোগ নাশক হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও আদা রন্নার উপাদান হিসেবে আদিকাল হতে ব্যবহার হয়ে আসছে।

১। মন্দাগ্নি: আদার রস, লেবুর রস ও সৌন্ধব লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার শুরুতে সেবন কররে মন্দাগ্নি দূর হয়, ক্ষুধা পায়। এই বিধিতে আদা খেলে তা কফ ও বায়ু বিকারকেও নাশ করে।

২। কাশি নিরাময়: আদার রস, লেবুর রস ও মধু সমপরিমাণে নিয়ে তাতে মিছরি দিয়ে দিনে ২-৩ বার সেবন করলে কাশি নিরাময় হয়। এছাড়া আদার রসে মধু মিশিয়ে খেলেও কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।

৩। জ্বর হলে: শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্যি যে আদা জ্বর নিরাময়ের জন্যও কাজ করে। আদা ও পুদিনার ক্কাথ বা পাচন তৈরি করে পান করলে জ্বর নেমে যায় বা ছেড়ে যায়। এটি শীতজ্বরেও খুব ভাল কাজ করে।

৪। গলাবসা: গলা বসে গেলে বা স্বরভঙ্গ হলে আদা খুব ভাল কাজ দেয়। আদার রস মধুতে মিশিয়ে সেবন করলে বসে যাওয়া গলা ঠিক হয়ে যায় বা স্বরভঙ্গ নাশ হয়। এতে গলার স্বর মধুর হতেও সাহায্য করে।

৫। সর্দি, নাক দিয়ে জলপড়া: আদার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে মিহি করে বেটে নিন। কড়াইয়ে সামান্য ঘি দিয়ে ঐ আদা কুচিগুলো ভেজে নিন। এবার ওই আদার সমপরিমাণ চিনির রসে আদা ভাজাগুলো দিয়ে গরম করুন। বেশ গরম হলে বা ফুটতে শুরু করলে তাতে সুঁঠ, জিরা (সাদা), গোলমরিচ, নাগকেসর, জয়িত্রী, বড় এলাচ,তেজপাতা, পিপরি ধনে, কালো জিরা ও ভায়বিডং (প্রতিটি আদার ১২ ভাগ) মিশিয়ে কাপড়ে ছেঁকে ৮-১৫ গ্রাম মাত্রায় নিয়মিত সেবন করতে হবে। এতে যত পুরনোই হোক সর্দি ঠাণ্ডালাগা সেরে যায়।

৬। ক্ষুধা না লাগা: যদি খিদে ঠিক মতো না পায়, পেটে গ্যাস হয়, অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাহলে আদাকে কুচি কুচি করে কেটে সামান্য লবণ ছিটিয়ে তাতে পিপরি দিয়ে দিনে ১-২ বার খেরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, নিয়মিত ক্ষুধা পায়।

৭। বমি: আদা এবং পেঁয়াজের রস মিশ্রিত করে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।

৮। বাতব্যাধি: বাতের ব্যথা বা রোগ হলে আদা কেটে মধু মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

৯। পেট ব্যথা: আদা ও পুদিনার রস ৫ গ্রাম করে নিয়ে ২ গ্রাম সৌন্ধব লবণ মিশিয়ে সেবন করলে পেটব্যথা থেকে সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাওয়া যায়।

১০। গেঁটে বা গাউট: গেঁটে বাত বা গাউটে আদার মিহি করে কাটা কুচি গাওয়া ঘিয়ে ভেজে খেলে উপকার পাওয়া যায়। আদাকে তিলের তেলে গরম করে ঐ তেল গাঁটে বা জোড়ে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।

১১। পাতলা দাস্ত: পাতলা দাস্ত হলে আদা থেঁতো করে জলে সেদ্ধ করুন। ঐ জল রোগীকে দিনে ৩ বার করে সেবন করতে দিন। এতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ফল পাওয়া যাবে।

১২। কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আদা যোয়ান ও গুড় সামান্য মাত্রায় নিয়ে গুঁড়ো বা থেঁতো করে নিন। এবার ঐ মিশ্রণ সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিন। এই মিশ্রণ প্রতিদিন নিয়মিত সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

১৩। মাড়িফোলা: ৪ গ্রাম সূঁঠচূর্ণ জলের সঙ্গে সেবন করলে মাড়ি ফোলা রোগ বা দাঁতের ব্যথা সেরে যায়।

 

 

সংগ্রহ : ইন্টারনেট

বিভাগঃ স্বাস্থ্য সেবা । এই পোষ্টটি ৪৬৪২ বার পড়া হয়েছে
কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব্য লিখুন

এই পোষ্টে মন্তব্য করতে অবশ্যই » লগইন করতে হবে ।
  • নামাজের সময়সূচী

    মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
    ওয়াক্ত শুরু জামাত
    ফজর ০৪.৪২ ০৫.১৫
    জোহর ১১.৪৪ ০১.১৫
    আসর ০৩.৫৩ ০৪.৩০
    মাগরিব ০৫.৩০ ০৫.৩৫
    এশা ০৬.৪৫ ০৭.১৫
    সূর্যোদয় : ০৫.৫৭ মিঃ
    সূর্যাস্ত : ০৫.২৯ মিঃ
  • Ads

  • অন্যান্য পাতাসমুহ



    Add Address

  • ভিজিটর তথ্য

    আপনার আইপি
    13.58.252.8
    আপনার অপারেটিং সিস্টেম
    Unknown
    আপনার ব্রাউজার
    " অপরিচিত "
  • ভিজিটর কাউন্টার


    free hit counter