আজ বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং  , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঃ , ৪ রজব ১৪৪৫ হিঃ

মহাঔষধ শসার উপকারিতা

পেটে ক্ষুধা, রাস্তায় জ্যাম, বাড়ি ফিরতে ঢের দেরি তো খাও শসা । শখ করে কিংবা হেলাফেলা করে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, শসা কিন্তু আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশ উপকারি । এক গবেষণায় বলা হয়েছে, উচ্চরক্তচাপে যারা ভোগেন, শসা তাদের জন্য ভালো ওষুধ। শসাতে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, পটাশিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, থিয়াসিন, ফোলেট, পেনটোথেনিক এসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ। শসা ভিটামিন এবং মিনারেলেস পরিপূর্ণ একটি সবজি। এর ৯৬ শতাংশ পানি। রমজানে ইফতারিতে শসা প্রায় কমবেশি সবাই খেয়ে থাকে। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর শরীরে যেসব ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দেয় শসা তা পূরণ করতে সাহায্য করে। পেটের অসুখ কিংবা গরমে শরীরের জন্য শসা খুব দারুণ উপকারী ।

আসুন জেনে নেই শসার বেশ কিছু গুণাবলী :

✤ পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে শসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
✤ ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ শসা শরীরে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বাড়ায়।
✤ পানি খাওয়ার সময় নেই ? নো প্রবলেম, একটি তাজা, ঠান্ডা শসা খেয়ে ফেলতে পারেন। পানির কাজ হয়ে যাবে ৯০ ভাগ পর্যন্ত।
✤ আপনার শরীরের ভেতরটা হঠাৎ গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করার জন্যে একটি শসাই যথেষ্ট। শসা আপনার চামড়াকে সূর্যের তাপদাহ থেকে রক্ষা করে।
✤ শসায় রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, শসার খোসায়ও স্টেরল থাকে।
✤ ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে শসা খুব উপকারী।
✤ কিডনি ইউরিনারি ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় শসা বেশ সাহায্য করে থাকে।
✤ এরেপসিন নামক অ্যানজাইম থাকার কারণে শসা হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান করে থাকে।
✤ শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।
✤ শসার রস আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী।
✤ ত্বকের ক্লান্তি কাটাতে, ত্বক পরিষ্কার রাখতে শসার রস খুবই উপকারী।
✤ মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতে, দাঁত ও মাঢ়ির সমস্যায় সাহায্য করে।
✤ স্পা করতে শসার কোন জুরি নেই। কেননা, শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন। এ কারণেই বিউটি পার্লারগুলোতে শসার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।
✤ শসা শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থগুলো অপসারণে সহায়তা করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথরও অপসারণ হয়ে যায়।
✤ খাবার হজম করতে শসার ব্যাপক অবদান রয়েছে । এছাড়া, শরীরের ওজন কমানো নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন। শসাকে স্যুপ ও সালাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। শসা আপনার চোয়ালের শক্তি বাড়াবে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
✤ শসা চোখের জ্বালাপোড়া দূর করতেও কাজে লাগে। ধূমপানের ফলে ধোঁয়াটে চোখ ও চোখের নিচে কালি পড়া দূর করে। কেননা, শসাতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেটরি প্রপার্টিজ (এক ধরনের জ্বালা-পোড়া দূরকারী উপাদান)।
✤ ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।
✤ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও শসা কাজে লাগতে পারে। রোগাক্রান্ত মাড়ির জন্যে শসা খুবই উপকারী। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে, তারা একটি শসা টুকরা আধা মিনিট ধরে মুখে গুজে রাখতে পারেন এবং জিহ্বা দিয়ে তা চাপ দিতে থাকুন, মুখ একদম ফ্রেশ হয়ে যাবে। শসা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
✤ শসা থেকে খাদ্য আঁশ পাওয়া যায়।

 

 

বিভাগঃ স্বাস্থ্য সেবা । এই পোষ্টটি ৫৪৯৫ বার পড়া হয়েছে
কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব্য লিখুন

এই পোষ্টে মন্তব্য করতে অবশ্যই » লগইন করতে হবে ।
  • নামাজের সময়সূচী

    মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
    ওয়াক্ত শুরু জামাত
    ফজর ০৪.৪২ ০৫.১৫
    জোহর ১১.৪৪ ০১.১৫
    আসর ০৩.৫৩ ০৪.৩০
    মাগরিব ০৫.৩০ ০৫.৩৫
    এশা ০৬.৪৫ ০৭.১৫
    সূর্যোদয় : ০৫.৫৭ মিঃ
    সূর্যাস্ত : ০৫.২৯ মিঃ
  • Ads

  • অন্যান্য পাতাসমুহ



    Add Address

  • ভিজিটর তথ্য

    আপনার আইপি
    3.141.41.187
    আপনার অপারেটিং সিস্টেম
    Unknown
    আপনার ব্রাউজার
    " অপরিচিত "
  • ভিজিটর কাউন্টার


    free hit counter