ছাত্র ও শিক্ষকের কিছু মজার কৌতুক
১.
জীববিজ্ঞানের ক্লাসে শিক্ষক সবাইকে ব্যাকটেরিয়ার ছবি আঁকতে বলেছেন। সবাই ছবি এঁকে খাতা জমা দিয়েছে। কিন্তু হাবলু খাতায় কোনো ছবিই আঁকেনি। তা দেখে শিক্ষক হাবলুকে বললেন, ‘কিরে হাবলু, খাতায় তো দেখি কিছুই আঁকিসনি তুই।’ হাবলু বলল, ‘স্যার, আমি ব্যাকটেরিয়া ঠিকই এঁকেছি। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া তো খালি চোখে দেখা যায় না। এ কারণে হয়তো আপনি দেখতে পারছেন না।’
২.
শিক্ষক: বলো তো, দ্বীপ কাকে বলে ?
ছাত্র: স্যার, এক দিক বাদে সব দিকে পানিবেষ্টিত ভূখণ্ডকে দ্বীপ বলে।
শিক্ষক: কেন, এক দিক বাদ কেন ?
ছাত্র: ওপরের দিকে কি কখনো পানি থাকে, স্যার ?
৩.
শিক্ষক ক্লাসে ঢুকেই সঞ্জুকে বললেন, ‘আচ্ছা সঞ্জু, বলো তো মানুষ কি কখনো ভবিষ্যতের কথা বলতে পারে?’
সঞ্জু: হ্যাঁ স্যার, আমার মা-ই তো পারেন।
শিক্ষক: বলো কী! এটা কী করে সম্ভব!
সঞ্জু: আমার পরীক্ষার ফলপত্র দেখলেই তো মা বলতে পারেন বাবা বাসায় এলে আমার কী হবে !
৪.
শিক্ষক: হাবলু, এবারও কিন্তু তোকে পরীক্ষায় প্রথম হতেই হবে।
হাবলু: চেষ্টা করব, স্যার। প্রশ্ন তো স্যার, এবারও আগের ছাপাখানাতেই ছাপতে দেবেন, তাই না?
শিক্ষক: এ কথা বলছিস কেন? তোর বাবা নির্ঘাত তোকে প্রশ্ন দেখান।
হাবলু: না, স্যার, বাবা প্রশ্ন দেখান না। তবে বাবার চোখের সমস্যা তো, তাই বাবার ছাপাখানার প্রুফটা আমিই দেখে দিই।
৫.
ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষক ছাত্রদের উদ্দেশে বললেন, ‘ধরো, সাতটা ভেড়া একসঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে ছয়টা ভেড়া একটি বেড়া ডিঙিয়ে ওপারে গেল। তাহলে আর কতটা ভেড়া এপারে থাকবে?’ এ কথা শুনে একদম পেছনের বেঞ্চ থেকে পল্টু বলল, ‘একটাও থাকবে না, স্যার।’ স্যার রেগে বললেন, ‘বোকার মতো কথা বলিস কেন? তুই তো দেখি অঙ্কে একদম কাঁচা!’ পল্টুর জবাব, ‘স্যার, ভেড়ার তো আর মানুষের মতো বুদ্ধি নেই। ছয়টা ভেড়া একদিকে গেছে মানে সব ভেড়াই সেদিকে যাবে। তাই না, স্যার?’