ওজন কমাতে সহায়ক ৬ ফল
যখন ওজন কমানোর কথাটি আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তখন আপনি কী খাচ্ছেন আর কী খাচ্ছেন না সে বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কি জানেন, ফল খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে কাল্পনিকভাবে কাজ করে। ক্যালরির পরিমাণ কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় ফল খেলে ক্ষুধাও কম লাগে। তাছাড়া ফল সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার বা যেকোনো সময় খাওয়া যায়। তাই ফল আপনার শরীর স্লিম রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক ধরনের ফল শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফিটনেস লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। নিচে তেমনই ৬টি ফল নিয়ে আলোচনা করা হলো :
আপেল : মেদনাশক ফলের কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে আপেল। ওজন কমাতে এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ভাজাপোড়া বা চর্বিযুক্ত খাবার না খেয়ে উচ্চ আঁশ ও নিম্ন ক্যালরিযুক্ত আপেল জলখাবার হিসেবে ব্যাবহার করা যেতে পারে। আপেল ভিটামিন বি ও সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ; যা শরীরে অতিরিক্ত শক্তি যোগায়।
ব্লুবেরি : শরীরের জন্য খুবই ভালো ব্লুবেরি। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। ব্লুবেরিতে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা শরীরে মেদ সৃষ্টিকারী উপাদানের কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে। এর পুষ্টি উপাদান বিপাকে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে ক্যালরি পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ব্লুবেরি নিয়মিত খান তাদের শরীরে মেদের পরিমাণ উল্ল্যখযোগ্য হারে কমে যায়।
জাম্বুরা : কয়েকজন ফিটনেস বিশেষজ্ঞের মতে, যারা নিয়মিত জাম্বুরা খান তাদের ওজন কমে উল্লেখযোগ্যভাবে। এমনকি এটি খেলে খাদ্যাভ্যাসেও তেমন কোনো পরিবর্তন আনা লাগে না। উচ্চ পানিসমৃদ্ধ জাম্বুরা পেট পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে এবং শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে স্লিম হতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
নারকেল : এটি মিষ্টি ও ফিলিং জলখাবার; যা আপনার দুই খাবারের মধ্যখানে আহারের চাহিদা পূরণে খুবই উপযুক্ত। এটি খাওয়ার পর আপনি মানসিকভাবেও অনেক প্রশান্তি অনুভব করবেন। এটি ক্যালরি ক্ষয়ে বেশ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া বিপাক প্রক্রিয়ায় এটি দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বেদানা : শরীরে অতিরিক্ত মেদ কমাতে এই রসালো ফলটি দারুণ উপকারী। গবেষণা অনুযায়ী, এর পলিফেনলস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্তিত করে। বিষাক্ত বর্জ্য নির্গমনে এটি শরীরকে সক্ষম করে তোলে। ক্ষুধা নিবারণে এটি দারুণ কার্যকর। তাই সকালের নাস্তার সঙ্গে এক গ্লাস বেদানার জুস অথবা দুপুরের খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরের সুগারের চাহিদাও পূরণ করে।
লেবু : আমরা অনেকেই লেবুর বহুবিধ গুণের কথা জানি। স্বভাবতই প্রতিবার খাবারের সঙ্গে একে রাখা উচিত। একটি সুস্থ্য লিভার চর্বি ঝরাতে ও খাদ্য হজমে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আর একটি সুস্থ্য লিভারের প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে লেবু খাওয়া।
সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্বাস্থ্য পাতায় প্রকাশিত হয়েছে ।