আম বলে, সেরা আমি
জৈষ্ঠের ফল
আমি ছাড়া জাতীয় কে
হতে পারে বল!
লিচু বলে, রঙে রঙে
ভরে তুলি মন
জাতীয় না আমি হলে
হবে কোন জন?
তাল বলে জাতীয় কি ছোটখাটো পদ
আমি ছাড়া কে হবে তা
কে-বা করে রদ!
জাম বলে, শোন ভাই
আম লিচু তাল
বড়াই করেনি তাই
জাতীয় কাঁঠাল।
প্রকাশিতঃ- ভোরের কাগজ – ২৩.০৫.২০১২
কাদা-মাটির যত্নে বোনা সুখ
ছাউনি খড়ের এই তো স্বপ্নটুক্,
মাঠের সবুজ ছন্দদোলা বুক
দেখি আমার দেশের শান্ত মুখ।
হাওর, বাঁওড়, বিলে-ঝিলে
রাখাল ছেলের সঙ্গে মিলে
দেখবে কি যে মন মাতানো রূপ,
উত্তরে যাও, দক্ষিণে যাও এক্কেবারে চুপ!
কান্ত হয়ে আমার কাছে এসো তুমি
আমার বুকে ছড়িয়ে আছে জন্মভূমি,
শান্ত আকাশ-আকাশ নীলে নীলের মেলা,
সকাল-সন্ধ্যা শান্তি সেথা করছে খেলা।
প্রকাশিতঃ ভোরের কাগজ – ২৩.০৫.২০১২
গ্রীষ্মের ছুটিতে এবার,
মামার বাড়ি যাবো।
আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা,
কমলা-লিচু যে কতো খাবো।
নানা-নানি, মামা-মামির
কতো যে আদর পাবো।
দুধ-ভাত, আর মাছ-মাংস,
কতো কি যে খাবো।
গ্রীষ্মের ছুটিতে এবার,
খুব মজা হবে।
যারা যাবে মামার বাড়ি,
আদর তারাই শুধু পাবে।
সীমাহীন আকাশে শত নক্ষত্রের মাঝে,
তুমি চির উজ্জ্বল।
শত দুঃখ দুর্দশার মাঝেও
তুমি উচ্ছল।
মনুষ্যত্বের চরম দুর্ভিক্ষেও
তুমি সচ্ছল।
কালোয় কলুষিত এ ধরণিতে,
তুমি নির্মল।
চারিদিকে নির্মমতার আবেশ সত্ত্বেও
তুমি কোমল।
সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপেও
তুমি শীতল।
গভীর নিশীথের জমাট অন্ধকারে,
তুমি কর ঝলমল।
লাগামহীন উদ্দাম এই বসুধার
তুমিই শৃঙ্খল।
মৃত্যুপথযাত্রী শোষিত মানবতার
তুমি অমৃত জল।
সম্পদহীন রিক্ত নদীর কাছে,
তুমি ঐশ্বর্যের ঢল।
পৃথিবীর সকল ভালবাসাই যেন,
তোমার দখল।
চির মহীয়সী জননী আমার,
তুমিই জীবনের কল্লোল।
আমার শেষ ঠিকানা হয় যেন,
তোমারই আচল।
আর কতকাল মাগো আমায়
থাকবে ছেড়ে বলো
তোমার কাছে এবার আমায়
রাখতে নিয়ে চলো।
তোমায় ছাড়া আমার যে মা
ভাল লাগে না
পড়াশুনা খেলাধুলায়
মন যে বসে না।
তোমার কথা তোমার স্নেহ
মনে ফিরে আসে
অবুঝ এ দু’চোখ শুধু
তোমায় খুঁজে ফিরে।
কি করে মা থাকি বলো
আমার মাকে ছেড়ে
জানি গো মা কষ্ট তোমার
থাকতে মাটির ঘরে।
তোমার সাথে থাকতে মাগো
আসছে তোমার ছেলে
চিরকালের জন্য যাকে
গিয়েছিলে ফেলে।
জন্মের আগেও তুমি আপন
জন্মের পরেও তুমি
তোমার চাইতে বেশি আপন
কে আছে মা জননী ৷
তোমার দুগ্ধ পান করে মা
বড় হইছি আমি
প্রতি টানে তোমার কাছে
হয়েছি মা ঋনী ।
অনেক রাত জেগেছ মা
আমায় নিয়ে বুকে
ঘুম আসতে দেওনি তখন
তোমার দুটি চোখে ৷
ব্যাথা পেলে দৌড়ে এসে
উঠতাম মা তোমার বুকে
কত লাথ লেগেছে মা
তোমার বুকে আর পেটে ৷
তোমার সেবা পারিনি করতে
চলে গেলে মা তুমি
তোমার কথা মনে করে
এখনও আমি….বিস্তারিত পড়ুন
মা আমার মা
প্রিয় আমার মা
এক ডাকেতে প্রাণ ভরে
যার নেই কো তুলনা
মা আমার মা
লক্ষি আমার মা
যার কথাতে প্রাণ ভরে
সে আমার মা ।
আল্লাহর পর যাকে আমি বেশি ভালবাসি
সে আমার মা
আপন বলতে যাকে চিনি
সে আমার মা
যে কথাতে আছে মধু
সেটি হল – মা
মায়ের কথা মনে হলেই
দু’চোখ ওঠে ভিজে।
কেমন করে বুঝবে তোমরা
ব্যাথা আমার কি যে ?
আব্বা ভীষন আদর করে
করেন মামা-মামি,
তবু আমার মনে কষ্ট শুধু রয়
কারো দেওয়া ভালোবাসাই
মায়ের মতো নয়।
লাগছে খারাপ মাকে নিয়ে
লিখতে কবিতা এই,
কারন জান-দুঃখী আমি
মা যে আমার নেই।
এই ভুবনের সবচেয়ে আপন শুধুই একজনা,
সকলে মোরে ভুলিতে পারে সে ভুলিবে না।
জগতের মাঝে সবচেয়ে দামি একটি শব্দ ‘মা’,
মহনীয় তুমি বরনীয় তুমি তুমিই আপনা।
এই ভুবনের সবচেয়ে আপন শুধুই একজনা,
সকলে মোরে ভুলিতে পারে সে ভুলিবে না।
জগতের মাঝে সবচেয়ে দামি একটি শব্দ ‘মা’,
মহনীয় তুমি বরনীয় তুমি তুমিই আপনা।
তোমারই রক্তে তোমারই মাংশে আমারই এ শরীর গড়া,
তোমা হতে এসেছি আমি দেখেছি এ ধরা।
তোমারই দেহে….বিস্তারিত পড়ুন
চালে ভেজাল ডালে ভেজাল
তেলেও ভেজাল হায়!
ভেজাল খাবার খাচ্ছে সবাই
বাঁচার কি উপায়?
মাছে ভেজাল গোশতে ভেজাল
দুধেও ভেজাল হায়!
নির্ভেজাল নেই কোথাও
এখন কি উপায়?
ফল ফলাদি যত সব
বাজারজাত হয়
তাও সব ভেজাল যুক্ত
নির্ভেজাল নয়।
ভেজাল যুক্ত খাবার যখন
দৈনন্দিন খাই,
দেহ-মন সুস্থ রাখার
কোন পথ নাই।
খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশানো
এটাই শেষ নয়
কুরআন-হাদীছ শিক্ষা দিতেও
ভেজাল শিখানো হয়।
আল্লাহর ভয় থাকবে যখন
সবার অন্তরে
আসলে ভেজাল মিশানো
বন্ধ হবে চিরতরে।
ইহকাল পরকালে
মুক্তি পেতে হলে
আসতে হবে নির্ভেজাল
তাওহীদী পতাকাতলে।